যশোর জেলার সদর, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলায় সব চেয়ে বেশি অনুপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ।।তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
বার্তা জগৎ ডেস্কঃ
যশোরের অনুপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে যশোর জেলা প্রশাসন জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের মধ্যে যেসব চেয়ারম্যান ও মেম্বার অনুপস্থিত আছেন তাদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চূড়ান্ত করেছে। অনপুস্থিতির এই তালিকায় যশোর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে ১০ জন চেয়ারম্যান ও ১৭ জন মেম্বার রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর যশোর জেলার ৯৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে বেশির ভাগই আত্মগোপনে চলে যান। এতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম একদিকে যেমন স্থবির হয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত থাকে। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুপস্থিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের তালিকা প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নেয় যশোর জেলা প্রশাসন।যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যায়লয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ইতিমধ্যে জেলার ৮ উপজেলার ৯৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের যেসব চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছে তাদের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছেছে। তবে সেটি যাচাই-বাছাই করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে প্রেরণ করা হবে বলে জানাগেছে।
সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে এরমধ্যে জেলার দুটি উপজেলা চৌগাছা ও বাঘারপাড়া উপজেলায় শতভাগ চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসার। বাকি ৬ টি উপজেলাতেই বেশিরভাগ চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনুপস্থিত রয়েছে। এরমধ্যে বেশি অনুপস্থিত রয়েছে যশোর সদর, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলায়।
প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানা যায়, যশোর সদর উপজেলায় যে ১৫ টি ইউনিয়ন রয়েছে এরমধ্যে ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৭ জন ইউপি সদস্য অনুপস্থিত রয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রেরিত তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত দেখানো হয়েছে।
অনুপস্থিত চেয়ারম্যানরা হলেন, যশোর সদরের হৈবতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, লেবুতলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন, উপশহরের এহসানুর রহমান লিটু, রামনগরের মাহমুদ হাসান লাইফ, আরবপুরের সাহারুল ইসলাম, ফতেপুরের শেখ সোহরাব হোসেন, কচুয়ার লুৎফর রহমান ধাবক, নরেন্দ্রপুরের রাজু আহমেদ ও ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছা: ফেরদৌসী ইয়াসমিন। এরমধ্যে লেবুতলা ইউনিয়নে ১২ জন ইউপি সদস্যকে অনুপস্থিত রয়েছে। এছাড়া হৈবতপুর, ইছালী, নওয়াপাড়া, রামনগর ও আরবপুর ইউনিয়নে আরও ৭ জন ইউপি সদস্য অনুপস্থিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমীন আক্তার বলেন, ৫ আগস্টের পর যেসব চেয়ারম্যান ও মেম্বররা অনুপস্থিত আছেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। সঠিক যাচাই-বাছাই করে এ তালিকা করা হয়েছে।
যশোর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল হাসান বলেন, জেলার ৮ উপজেলার চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের চিঠি ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে। এসব তালিকা যাচাই-বাছাই করে যারা অনুপস্থিত আছেন তাদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Post a Comment