Header Ads

বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান



জি এম আশরাফ (বেনাপোল) 

 বানিজ্য সম্প্রসারনের লক্ষে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভা ও বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ 

স্থলবন্দর চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান। এসময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের পরিচালক(ট্রাফিক) হারুনুর রশিদ। শুক্রবার দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর অডিটোরিয়ামে বানিজ্যিক সংশিষ্টদের সাথে এ মত বিনিময় সভা করেন তিনি। 

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক(ট্রাফিক) সজিব নাজিরের সভাপতিত্বে এ সভায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সায়েদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী  নাজিব হাসান,  পোর্ট থানা ওসি রাসেল মিয়া, ইমিগ্রেশন ওসি ওমর ফারুক মজুমদার, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন,  দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক  মোঃ মেহেরুল্লাহ, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার কমার্সের সভাপতি মতিয়ার রহমান, বেনাপোল চেকপোষ্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মামুন সিকদার ,ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান সনি,  স্থলবন্দর চেকপোষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক সহ বানিজ্যিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা,কর্মী ও  গণমাধ্যম কর্মীরা। 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, বেনাপোল বন্দরে সার্বিক বিষয় নিয়ে তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। প্রথমত এ বন্দরকে সকল দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সি সি টি ভি গুলো মনিটরিং করার একজন দক্ষ লোক দরকার। বন্দরের ক্রেন ও ফরক্লিফট অন্যের থেকে টেন্ডারে নেওয়াতে অনেক দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্যে থাকে। এই সবের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ক্রেন ও ফরক্লিফট থাকা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, এ বন্দরটির ধারণ ক্ষমতার চাইতে ১০ গুন বেশি মালামাল এখানে লোড আনলোড করা হয় অতএব, এ বন্দর টি কে একটি আধুনিক বন্দরে রূপান্তরিত করতে হলে আরো অনেক জায়গার প্রয়োজন। এ বন্দরে জায়গা কম থাকার কারনে বেনাপোলের মেইন রাস্তায় যানযটের কারনে এক দিকে  আমদানী রপ্তানীর উপর চরম প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে দ্রুত মালামাল খালাশ না হওয়াতে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়িরা এবং রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

 সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বাণিজ্য সম্প্রসারনর ক্ষেত্রে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর অভ্যন্তরে নানান বাঁধা ও বৈষম্যের কথা তুলে ধরে প্রতিকারের আহবান জানান। পরে স্থলবন্দর চেয়ারম্যান এসব সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দিয়ে বাণিজ্য গতিশীলের আশ্বাস দেন।

সভা শেষে বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত পরিদর্শন করেন।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.