Header Ads

বেনাপোলে যানজট নিরসনে ফ্লাই অভার নির্মান প্রয়োজন

 


বেনাপোল থেকে রাজু আহমেদঃ

দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল এবং আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট।  এই বন্দর হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার  দেশী বিদেশী পর্যটক যাতায়াত করে ভারত বাংলাদেশ। এবং ভারত থেকে দেশের শিল্প কলকারখানার কাঁচাপণ্য সহ অন্যান্য পণ্যর সিংহভাগ আমদানি হয়ে থাকে এই বন্দর দিয়ে । কিন্তু বেনাপোল বন্দরে দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে যানজট। সেই যানজট এখন মহাযানজটে পরিনত হয়েছে। যার দুর্ভোগ ভোগ করছে দেশী বিদেশী পর্যটক, স্কুল কলেছের ছাত্র ছাত্রী জরুরী রুগী সহ অসংখ্য মানুষ। এসব নিরসনের জন্য সচেতন মহলের অনেকে ইতিমধ্যে বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে কাগজপুকুর পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার একটি ফ্লাই অভার  দাবি করেছে সরকারের কাছে।

বেনাপোল বাজার থেকে চেকপোষ্ট পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার সড়ক। এই সড়কে আমদানি পণ্য এবং দুর পাল্লার গাড়িতে প্রতিদিন মহাজানযটের সৃষ্টি করায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষ এর  দুর্ভোগ এর কবলে পড়তে হচ্ছে। যানজটের কারনে ছোট ছোট ভ্যান রিক্সা ইজিবাইক চলাচল করতে না পারায় ছাত্র ছাত্রীরা সময়মত তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। এমনকি গুরুত্বপুর্ন পরীক্ষার সময়ও তাদের বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়াও যানজটের কারনে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে।

ঢাকা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী হোসেন আলী বলেন, আমি জরুরী প্রয়োজনে ব্যবসার কাজে ভারত যাব। ঢাকা থেকে গাড়িতে বেনাপোল বাজার এলাকায় পড়েছি মহাযানজটে। প্রায় দেড় ঘন্টা বিলম্ব করার পরও বাস যখন চেকপোষ্টে যেতে পারছে না তখন নেমে হেটে গেলাম।

কুমিল্লার মৃনালী দে বলেন আমি চিকিৎসার জন্য ভারত যাব। এখন যানজটের কারনে আমার দেরী হয়ে গেল। তাছাড়া ছোট খাট ভ্যান রিক্সা অটোরিক্সা না চলাতে আমি ল্যাগেজ নিযে বিপাকে পড়ি। অতি কষ্টে আমি হেটে হেটে চেকপোস্ট পর্যন্ত এসেছি।

বেনাপোল পৌর সভার কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে কাগজপুকুর পর্যন্ত ফ্লাই অভার দরকার। সরকার এই বন্দর থেকে প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। তাছাড়া পাসপোর্টযাত্রীদের মাথা প্রতিও হাজার টাকা ট্যাক্স নিয়ে সেখান থেকেও  কোটি কোটি টাকা আদায় হয়ে থাকে। সেই ভাবে বেনাপোলের মত একটি গুরুত্ব পুর্ন জায়গায় কোন উন্নয়ন হয়নি।  এলাকার জরুরী গর্ভবতী মায়েরা অসুস্থ হয়ে পড়লে ও তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে অসুবিধায় পড়তে হয়। এছাড়া স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা ও সময় মত তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে পারে না।

শার্শা উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান শামিমা আলম সালমা বলেন, বেনাপোল থেকে কাগজপুকুর পর্যন্ত একটি গুরুত্ব পুর্ন এলাকা। এ পথে পাসপোর্ট যাত্রী সহ আমদানি রফতানির কাজে প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসে হাজার হাজার লোক। সব থেকে বেশী অসুবিধায় পড়তে হয় কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিয়ে। গ্রাম থেকে  এসে শহরের মুখে যানজটের কারনে বাধার সৃষ্টি হয় এসব কাচাপন্যের  গাড়ি। আর সময় মত বাজার ধরাতে না পেরে লোকসানে অথবা মধ্যেসত্বভোগীদের কাছে নামে মাত্র বিক্রি করে  চলে যেতে হয় কৃষকদের। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবো বেনাপোলে যানজট নিরসনে যেন একটি ফ্লাই অভার তৈরী করা হয়।
বেনাপোল এর বিশিষ্ট সি এন্ড এফ ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বাবলু বলেন, বেনাপোল দেশের  একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলেও এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আমদানি রপ্তানি গাড়ি ও গনপরিবহন গুলো রাস্তার দুই ধারে সারিবদ্ধ করে রাখার কারণে তীব্র যানজটের শিকার বেনাপোল বাসি।তাই আমরা অতি দ্রুত প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থেকে কাগজ পুকুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটিতে একটি ফ্লাই অভার দরকার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.