বেনাপোল কাস্টমস ইমিগ্রেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্বচ্ছতা ফিরেছে।
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট কাস্টমস ও আন্তজার্তিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী গমনাগমনে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে। কাস্টমস ও যাত্রী টার্মিনালে বহিরাগতদের ভিড়ে যাত্রীরা নানা মুখি হয়রানির শিকার হতো। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কড়াকড়ি আরোপ করে বহিরাগত প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পাসপোার্ট যাত্রীদের নিয়ে কিছু বহিরাগতরা নানা মুখি হয়রানি করত। এরা সু- কৌশলে যাত্রীদের সাথে এসব করায় কাস্টমস বিভাগের দৃষ্টি গোচর হয়।
যার ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে বহিরাগতরা প্রবেশ করে কোন যাত্রীকে হয়রানি করতে না পারে। সূত্রটি বলে এসব বহিরাগতরা এর আগে বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এর সামনে থেকে যাত্রীদের কাজ করে দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সে ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ভারতগামী যাত্রীদের নিকট থেকে একটি চক্র প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়। এরপর ওই চক্রদের আটক করা হয়। এবং যশোর জেলা হাজতে ছিনতাই প্রতারনার মামলা দিয়ে পাঠানো হয়।
বেনাপোল কাস্টমস সুপার মোকলেসুর রহমান বলেন, যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানি না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে যাত্রী সেবা ও কাস্টমসের সুনাম অর্জন করতে হবে। এ জন্য বহিরাগত লোক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল হয়ে ভারত গামী পাসপোর্ট যাত্রী কাস্টমস ইমিগ্রেশনে যায়। কিছু বহিরাগত লোকের প্রবেশ আমাদের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় আমরা কড়াকড়ি আরোপ করেছি। কোন বহিরাগত লোক যাতে ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে এবং যাত্রীদের সাথে প্রতারনা করতে না পারে তার জন্য কড়াকড়ি পদক্ষেপ গ্রহন করেছি।
বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এর ইনচার্জ নাহিদ হাসান বলেন, বেনাপোল যাত্রী গমনাগমনে বহিরাগত দের দ্বারা ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী রা যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছি এবং শতভাগ সেবা প্রদান করার চেষ্টা করছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাহিদ হাসান নিজে যাত্রী সেবার মান অক্ষুন্ন রাখতে বন্দরে নিয়োজিত বেসরকারি সিকিউরিটি পিমা, আনসার ও আর্মড পুলিশ এর সদস্য দের কে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
তবে আনসার বাহিনীর কিছু অসাদু সদস্যরা সবার চোখ ফাকি দিয়ে টাকার বিনিময়ে লাইনের আগে লোক পার করার বিষয় টি ও চোখে পড়ে। আনসার এর এপিসি শিপন এর নেতৃত্বে আনসার সদস্য নিজাম উদ্দিন ও রবিন্দ্রনাথ কে লাইনের আগে লোক পার করার বিষয় টি দেখা যায়।এছাড়াও অনেক সময় এপিসি শিপন কে বিজিবি টেবিল এর সামনে দিয়ে ল্যাগেজ ও কম্বল হাতে নিয়ে টার্মিনালের বাহিরে আসতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদ হাসান বলেন, বিষয় টি আমার চোখে কয়েকবার পড়েছে আমি তাকে সাবধান করেছি। এর পর যদি এরকম কিছু চোখে পড়ে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজু আহমেদ
বেনাপোল,যশোর
Post a Comment