Header Ads

বেনাপোলে মাছের ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় গার্মেন্টস সামগ্রী উদ্ধার



বেনাপোল থেকে রাজু আহমেদঃ 

দীর্ঘ সময় ধরে বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান বিরোধী মেশিন নিষ্ক্রিয় থাকায় বৈধ পথে পণ্য চোরাচালানের প্রচলন বেড়েছে।

গত রাতে, কাস্টমস কর্মকর্তারা একটি মাছ আমদানির কাছ থেকে শুল্কমুক্ত শাড়ি এবং পিচ উদ্ধার করেছে। গতকাল রাতে  আমদানিকৃত মাছের ট্রাক থেকে শাড়ি,ফ্রিপিচের একটি চালান উদ্ধার করেছে কাস্টমস সদস্যরা। পণ্য চালানটির আমদানিকারক  লাকি এন্টার প্রাইজ।কাস্টমস থেকে এ চালানটি খালাসের চেষ্টা করছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সোনালী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সী লিমিটেডের শান্ত । এর আগেও এধরনের পণ্য চালান একাধিবার  আটক করেছে কাস্টমস।

স্থানীয়রা জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকার কাস্টমস সদস্যরা গতকাল রাতে ভারত থেকে আসা মাছ নিয়ে আসা একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার গার্মেন্টস সামগ্রী  উদ্ধার করে। 

 তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক বা সহযোগী কাস্টমস কর্মকর্তাদের  বিরুদ্ধে যেনতেন দায়সারা ব্যবস্থা নেওয়ায় থামছেনা এসব অনিয়ম। কাস্টম-ইমিগ্রেশন স্ক্যানিং মেশিন গুলো  ৬  মাসেরও বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকায়, স্বর্ণসহ  মূল্যবান সম্পদ  ভারতে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে ।


মাছের গাড়িতে অবৈধভাবে পোশাক আমদানি করা হয় বলে অভিযোগ সাধারণ ব্যবসায়ীদের। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছেন।


মাছ বহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালক আলমগীর বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তারা তার গাড়ি থেকে প্রচুর শাড়ি এবং থ্রি  পীচ উদ্ধার করেছেন। তবে কারা এসব ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক 

সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান,স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বানিজ্য ঝুকিতে পড়ছে।


বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান,স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.