শার্শার বিভিন্ন স্থানে অনভিজ্ঞ ও লাইসেন্স বিহীন ৬ চাকার ট্রাক্টর চালকের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেদারছে চলাচল করছে যন্ত্রদানব নিষিদ্ধ ট্রাক্টর। সম্প্রতি শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। এই মাটি কেটে ইটভাটা, মৎস্য ও বসতবাড়ি নির্মাণে পরিবহনের মাধ্যমে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর। চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত এসব ট্রাক্টর সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও প্রতিনিয়ত মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা ও ফসলি জমি। এতে করে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।শার্শার বিভিন্ন স্থানে ৬ চাকার এই ট্রাক্টর পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা সড়কে ইট-মাটি-বালি, কাঠ-গাছ পরিবহনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলার সর্বসাধারণ।
এমনকি মাটি বোঝাই অবস্থায় দেশের প্রধান সড়ক গুলো ব্যবহার করে।মাটি বোঝাইকৃত ট্রাক্টর থেকে রাস্তায় মাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়াতে একদিকে ক্ষতি হচ্ছে দেশের প্রধান সড়কগুলি অন্য দিকে হাল্কা বৃষ্টিতে রাস্তায় পিচ্ছিল কাদার সৃষ্টি হয়ে অনেক পথচারী ্দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এছাড়াও গত ডিসেম্বর ২০২৩ এ অনভিজ্ঞ ট্রাক্টর চালকের কারণে উপজেলার ৩ নং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শাখারিপোতা এলাকায় একটি গরূর সাথে ৬ চাকার একটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর এর সংঘর্ষে গরু টি মারাত্বক ভাবে আহত হয় পরে অবস্থার অবনতি দেখে গরূটিকে জবাই করে দেওয়া হয়। গুরুর মালিক জামির হোসেন বলেন গরুটি আমার হালের গরূ ছিল সেটার দাম প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
প্রতিনিয়ত নতুন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হলেও এ যন্ত্রদানবের ভয়াল ছোবলে সড়কগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর চলাচলের কারনে লক্কর-ঝক্করে রূপ নিচ্ছে সকল ধরণের সড়ক। লাইসেন্সবিহীন,অনভিজ্ঞ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনাও। দিনে-রাতে সমানতালে পণ্য নিয়ে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি।
এলাকাবাসী জানান, এ ট্রাক্টর চলাচলের সময় আশপাশ কুয়াশার মতো এলাকায় ধূলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আর ধূলোর মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করায় স্বর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
এই ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শাখারীপোতা এলাকাবাসী।
রাজু আহমেদ
বেনাপোল,যশোর
Post a Comment