বেনাপোলে আতা ফল আমদানির অনুমতি নিয়ে শুল্ক ফাকির উদ্দেশ্যে সাথে আনা হলো পার্সিমন!
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
দেশের বেনাপোল সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির আড়ালে শুল্ক ফাঁকি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। এমনই একটি চক্র সরকারি শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশে আতা ফল আমদানির মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আতা ফলের সঙ্গে মূল্যবান পার্সিমন ফল দেশে এনেছে। ওই ফলের চালান খালাসের যাবতীয় প্রস্তুতিও চলছিল, তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালনটি জব্দ করেছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, প্রভা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৭০০ কেজি আতা ফল আমদানির ঘোষণা দিয়ে আতা ফলের চালানের মধ্যে মূল্যবান পার্সিমন ফল নিয়ে আসে। এতে বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি পণ্যের চালানটি ক্লিয়ারিংয়ের দায়িত্বে ছিল বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টার প্রাইজ।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বন্দরের ৩১নং ইয়ার্ড থেকে চালানটি জব্দ করে কাস্টমস। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে চালানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী বলেন, লাইসেন্সটি ভাড়া নিয়ে বেনাপোলের এক ব্যক্তি কাজ করেন। এসব বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
প্রসঙ্গত, পার্সিমন ফল জাপানের জাতীয় ফল হিসেবে স্বীকৃত হলেও এটি ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশেও জন্মায়। অনেকটা টমেটো আকারের বৃত্তাকার বীজশূন্য ফলটি উচ্চ পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ। ফলটিতে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকলেও চর্বির পরিমাণ নিতান্তই কম। এ কারণে আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধসহ বহু রোগ নিরাময়ে ফলটি সহায়তা করে। এ কারণেই ফলটি মূল্যবান এবং আমদানি শুল্ক কর বেশি।
রাজু আহমেদ
বেনাপোল,যশোর
Post a Comment