Hot Posts

10/recent/ticker-posts

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসলো ৬১ হাজার ৯৫০ পিচ ডিমের প্রথম চালান




বেনাপোল প্রতিনিধিঃ 

বাজারে ডিমের দামের উর্ধ্বগতি রুখতে ভারত থেকে  শুরু হয়েছে ডিম আমদানি। 

রোববার(০৫ নভেম্বর)  সন্ধ্যায়ে  সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ঢাকার   বিডিএস কর্পোরেশন  প্রথম চালানে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০  পিচ মুরগীর ডিম আমদানি করেছেন। বন্দর থেকে এসব ডিম ছাড় করে সরবরাহ করা হবে বাজারে।  আমদানি ও  অন্যান্য  খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি  পিচ ১০ টাকার মধ্যে  বিক্রী সম্ভব হবে বলে সংশিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এদিকে  ডিম  আমদানিতে দেশে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে  কম দামে  কিনতে পারবেন আশা করছেন সাধারন ক্রেতারা। 


জানা যায়, দেশের বাজারে প্রায়ই  মুনাফা লোভী  ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তিন মাস আগে হঠাৎ করে নানান কারন দেখিয়ে  দেশের বাজারে ডিমের দাম ৯  টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকা  বিক্রি করতে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। এতে পুষ্টি সমৃদ্ধ  ডিম কিনতে না সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বাজার ব্যবস্থপনা নিয়ে ক্ষোভ জানান সাধারন ক্রেতারা। সরকার বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বাজার ।

 সবশেষ বাধ্য হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয়।  অবশেষে রোববার সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ভারত থেকে  ৬১ হাজার ৯৫০   পিচ ডিমের আমদানি হয়। এসব ডিমের আমদানি মুল্য ধরা হয়েছে  ২৯৮৮ ইউএস ডলার  যা বাংলাদেশি অর্থে  ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতিপিচ ডিমের ভারতে কেনা  মুল্য দাড়িয়েছে  ৫ টাকা ৩০ পয়সা। ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি  পিচ  ১০ টাকার মধ্যে  বিক্রী সম্ভব হবে বলে সংশিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।  

আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার  অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলেও মনে করছেন সংশিষ্টরা। মোট  ১০ টি প্রতিষ্ঠানকে ১০  কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানি শর্তে বলা হয়েছে ডিম ভাইরাস মুক্ত থাকতে হবে।


সাধারন ক্রেতা তৌহিদুর  রহমান

জানান, বেশি দামে ডিম কেনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন আমদানিতে বাজারে দাম কমবে  আশা করছি। 


ডিম ছাড়কারি সি অ্যান্ড এফ প্রতিষ্ঠান এম ই এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি মহিদুল হক  রুবাই  জানান, 

ভারত থেকে প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০ পিচ ডিম আমদানি হয়েছে।পর্যায় ক্রমে ডিমের বাকি চালান খুব দ্রত বন্দরে আসবে।


বেনাপোল স্থলবন্দর প্রানি সম্পদ কোয়ারেন্টাইন অফিসের ইনচার্জ বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল 

জানান, ডিমবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর সেটি ভাইরাস মুক্ত বা খাওয়ার উপযোগী কিনা পরীক্ষা করা হয়। পরে তা মানসম্পূর্ন হওয়ায় বন্দর থেকে ডিমের ছাড় পত্র দেওয়া হয়েছে। 


বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক  জানান,  সিন্ডিকেট করে সাধারন মানুষকে জিম্মি করছিল দুর্নীতি  বাজ ব্যবসায়ীরা । ডিম আমদানির ফলে দেশে যে সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছিল তা এখন ভাঙবে।


রাজু আহমেদ 

বেনাপোল,যশোর 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ