Header Ads

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জাতীয় চারনেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা ইতিহাসের অন্যতম পৈশাচিক ঘটনা--- আশরাফুল আলম লিটন



বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা ইতিহাসের অন্যতম পৈশাচিক ঘটনা। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ, শেখ মণি পরিবার এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পরিবারের সদস্যসহ মোট ১৮ জনের হত্যাকারী যারা ছিল, তারা জেলের ভেতর জাতীয় চারনেতাকে একই উদ্দেশ্যে হত্যা করে।এটি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বকে হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্রমতা দখল করা এবং একইসঙ্গে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তি- যারা এই হত্যাকাণ্ড ও অভ্যুত্থান সংঘটিত করার পেছনে পরিকল্পনা, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে যুক্ত করাসহ সব ধরনের সমর্থন আর সহযোগিতায় নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, তাদেরই চূড়ান্ত ল্য বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন ধাপ। শার্শার নাভারন বাজারে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধান অতিথি হিসাবে  সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে নাভারন মোড়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্বি করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ আযম।  আলোচনা শেষে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হাসপাতাল মোড় যেয়ে শেষ হয়।

সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন,  জাতির জনকের অবর্তমানে জাতিয় ওই চারনেতার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর নামের উপরে দেশ স্বাধিন হয়েছিল। ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল যারা তারা এদেশ স্বাধীন চায়নি। যারা পাকিস্থানের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এরপর তারাই জাতিয় ৪ নেতাকে হত্যা করে নিরাপদ কাষ্টিডিউ জেলা খানায় যাতে মুক্তিযোদ্ধার চেতনার ভাবধারার মানুষ আর না থাকে। আপনারা জানেন এদেশে ১৫ আগষ্টের পর থেকে কারা রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে আর কারা মুক্তিযোদ্ধাদের কষ্ট দিয়েছে। আজ সেই বিএনপি জামাতরা এদেশকে আবার পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নামে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আজ বাঙালীর সাহস , বাঙালির বিশ্বাস ও বাঙালীর জয় বাংলার শ্লোগান তা আপনারা জানেন। আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভ্যান চালিয়ে জিবীকা নির্বাহ করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা বাবাদের সন্মান দিয়েছে। তাদের বীরের বেশে ভাতা চালু করেছে। এছাড়া বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও চালূ করেছেন। তিনি বছরের শুরুতে ৩৪ কোটি বইও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতারন করছেন। কৃষকের সার ওষুদের ব্যবস্থা করেছেন।

আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আজ শ্রমিকের বেতন ভাতাও তিনি বৃদ্ধি করেছেন। টিসিবি কার্ড এর মধ্যেমে এখনও ১০ টাকা চাল দিয়ে যাচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা।  আজ করোনার জন্য পৃথিবীতে  সব জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়ার যুেদ্ধর জন্য ও দ্রব্য মুল্যের দাম বৃদ্ধির কারনে আমাদের সহ সারা পৃথিবীতে এর প্রভাব পড়েছে তার জন্য এই বিএনপি জামাতের লোকেরা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বিএনপির কোন ইতিহাস নেই এদেশের মানুষের জন্য ভাল কিছু করবে। আজ পদ্মা সেতু হয়ে আমরা মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টায় ঢাকায় যেতে পারি। এদেশে জামাত বিএনপি দিয়েছিল ৫৬০ টি বোমা উপহার আর শেখ হাসিনা উপহার দিয়েছে ৫৬০ মসজিদ। ওই বিএনপির সময় বাংলা ভাই ও জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। বিএনপির সময় ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ৫ বার দুর্নিতীতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তিনি বলেন আগামি ভোটের জন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কারন স্বাধীনতা বিরোধিরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

আশরাফুল আলম লিটন বলেন, রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট। সেটি তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক সফল হওয়ায় খন্দকার মোশতাক এবং অন্যান্য ব্যক্তি ও গোষ্ঠী মতায় বসে। পরে দেশি-বিদেশি পরিকল্পনাকারীদের ল্য বাস্তবায়নে একের পর এক কাজ করে যেতে থাকে। তারা মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা ও সদস্যকে দিয়ে অস্ত্র এবং সামরিক শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী শক্তি এ ধরনের রাষ্ট্রীয় অভ্যুত্থান এবং রক্তপাতে দেশীয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ব্যবহার করার েেত্র দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। প্রতিটি ঘটনার মধ্যে অভিজ্ঞতার ভিন্নতা ছিল।

খন্দকার মোশতাক ও ১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা বুঝতে পারে যে, সেনাবাহিনীর বৃহত্তর অংশ তাদের অবস্থানকে আর মেনে নিচ্ছে না। সেনাবাহিনীর দ্রুত এই অবস্থানটি সংহত হওয়ার প্রোপটে মোশতাক এবং তার সহযোগীরা বুঝতে পারে যেকোনো মুহূর্তে মতার পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। সেকারণে ছক আটে।  তারা কাল বিলম্ব না করে ৩ নভেম্বর রাতের অন্ধকারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি চারনেতাকে কারাবিধি এবং দেশীয়-আন্তর্জাতিক সব নিয়ম ভেঙে কারাগারের ভেতর প্রবেশ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এেেত্র খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি পদের মর্যাদার তোয়াক্কা না করে খুনিদের কারাগারের ভেতরে প্রবেশের নির্দেশ দেয়। এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ালীগের উপদেষ্টো মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ মাষ্টার শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরাবান আলী, কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স, বনও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, বেনাপোল পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, বেনাপোল পৌরসভার ৮ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, আওয়ামী নেতা সাধান কুমার গোস্বামী, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফফার সরদার, কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল, উলাশী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, লক্ষনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.