Hot Posts

10/recent/ticker-posts

বেনাপোলে জাল ভ্রমণ ট্যাক্স চক্রের মূল হোতা শামিম আটক





বেনাপোল প্রতিনিধিঃ 

বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্ট থেকে ভ্রমণ কর জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন । দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে, ভ্রমণ কর জাল করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিতো এই চক্রটি ।

বৃহস্পতিবার (১৬নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে মূলহোতা শামিম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি সাদিপুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে।

জানা যায়, আটক কৃত শামিম এর পিতা আব্দুল মোমিন একজন বড় মাপের চোরাচালানকারী। সে কয়েকবার বেনাপোল পোর্ট থানায় স্বর্ণ সহ আটক হয়।ছাড়া পেয়ে আবারও সে বিভিন্ন চোরাচালান, অর্থ পাচার, ভ্রমণ ট্যাক্স জালিয়াতি সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে  সক্রিয় ভাবে কাজ করে চলেছে। 

ট্যাক্স জালিয়াতির ঘটনায় ঘটনাস্থল  থেকে  জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জাল ভ্রমণ কর রশিদ ও সোনালী ব্যাংকের সিল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভারতগামী ৮ জন যাত্রীর কাছ থেকে ৮টি জাল ভ্রমণ কর রশিদ জব্দ করা হয়েছে। 

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামিম স্বিকার করেছে, জাল ভ্রমণ ট্যাক্স ফাঁকির এ চক্রের সাথে আরও ৫/৬ জন জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতগামী যাত্রীদের সিরিয়াল ছাড়া পুলিশ ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ দ্রুত করে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভ্রমণ করের টাকা হাতিয়ে নেয়।

শামিমের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় এর আগেও একটি কর জালিয়াতির মামলা রয়েছে। জেল ও খেটেছে কয়েকবার ।   জামিনে বের হয়ে আবারও এই চক্রের সাথে কাজ শুরু করেছেন বলে জানা যায়। 

 উল্লেখ্য, বেনাপোল চেকপোস্টের আশেপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কিছু  কম্পিউটার, মোবাইল ও ফটোকপির দোকানে এসব জাল ভ্রমণ ট্যাক্স এর কপি  তৈরি করা হচ্ছে।অনলাইন ভ্রমণ ট্যাক্স চালু হওয়ার পর থেকেই এই জাল ট্যাক্স এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই ভ্রমণ  ট্যাক্স যাচাই এর ব্যাপারে কাস্টমস সুপারঃ মোঃ হাবিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বার্তা জগত কে  জানান , এটা আমাদের দায়িত্ত্ব না, এটা ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তা দের দায়িত্ব।  

অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভ্রমণ ট্যাক্স যাচাই বাছাই করার জন্যে  সেখানে ভ্যাট অফিসের কোন কর্মকর্তা নিয়োজিত নেই। সে কারনেই ভ্রমণ ট্যাক্স জালায়াতি চক্র আরো সক্রিয় হয়ে কাজ করে চলেছে। যার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

স্থানীয় বিভিন্ন প্রশাসনের হাতে ভ্রমণ ট্যাক্স জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা বার বার ধরা পড়লেও তারা কোনো এক ঐশ্বরিক ক্ষমতার বলে মুক্তি পেয়ে আবারো তারা সক্রিয় হয়ে কাজ করতে দেখা যায় ।  


জি এম আশরাফ  

বেনাপোল,যশোর 

১৬/১১/২০২৩

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ