Hot Posts

10/recent/ticker-posts

বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান।




বেনাপোল প্রতিনিধিঃ 

“বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ” এর চেয়ারম্যান-মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী(অতিরিক্ত সচিব) আজ(৩ অক্টোবর) ২ঃ৩০ টার  দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শণে আসেন। সেখানে পৌছলে বন্দরের  পরিচালক(ট্রাফিক)-মোঃ আব্দুল জলিল সহ বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা প্রদান করেন।


বন্দর পরিদর্শণ শেষে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি(এপিএ)’র আওতায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিক্ল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে  বেনাপোল স্থল বন্দর  মত বিনিময় সভায় যোগ দেন।  স্থানঃ- সন্মেলন কক্ষ,আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল,বেনাপোল স্থল বন্দর,যশোর।


বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন- আক্তার উননেছা শিউলি,উপসচিব(পরিচালক,ট্রাফিক,বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ,ঢাকা।


এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন-শার্শা উপজেলার ভূমি সহকারী কমিশনার ফারজানা ইসলাম,বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন(ওসি,তদন্ত) সহ  গোয়েন্দা সংস্থার  কর্মকর্তাবৃন্দ।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-আব্দুল জলিল(পরিচালক,ট্রাফিক, অঃ দাঃ বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।


মতবিনিময় সভায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে করনীয় কি,বন্দর এলাকায় যানজট নিরসন এবং বন্দরের ট্রাকটার্মিনাল গুলোয় ট্রাকের পরিবর্তে পণ্য স্তুপ বন্ধ করণ সহ পাসপোর্টযাত্রী এবং পণ্য খালাসে বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বন্দর সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা তাদের কথা গুলো তুলে ধরেন। তারা বলেন,জীবণের ঝুকি নিয়ে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য বন্দর এলাকায় নেই কোন হাসপাতাল বা এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। এখানে কাস্টমস, বিজিবি ও বন্দর কর্তৃপক্ষ একই পন্য তিন জায়গায় এন্ট্রি করায় একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে আমদানি কারকরা নিরুৎসাহিত হয়ে অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছে বা ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে।

প্রধান অতিথি জিল্লুর রহমান চৌধুরী তাদের উত্থাপিত অনুরোধ এবং প্রস্তাবগুলির উপর জবাব দান ও শুদ্ধাচারের মাধ্যমে বন্দর পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক তথ্য উপস্থাপণ ও অংশীজনদের উপর পরামর্শ প্রদান করেন। 


পূর্বে কেবল মাত্র কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এন্ট্রি করায় এই বন্দরে প্রতিদিন ৬ থেকে  ৭ শত ট্রাক পণ্য আমদানি হতো যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ৩ শত ট্রাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন বন্দরটির  জায়গা সংকটের কারনে রপ্তানি টার্মিনালটি ক্রেন ও  ফর্কলিফ্ট  এর গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।১৯৯৫-৯৬ সালে বন্দরটির আধুনিকায়ন শুরুর সময় একটি বন্দরের মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়  সেই প্ল্যান কে কাজে না লাগিয়ে, বন্দরে কর্মরত কিছু অসাধু  অফিসার নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে খেয়াল খুশি মত জমি অধিগ্রহন করে অথচ  তাতে বন্দরের অংশীজনেরা উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ । এছাড়াও বন্দরের  জায়গা সংকটে  প্রতিনিয়ত যানজটের কারনে স্কুল কলেজ পড়ুয়া  শিক্ষার্থী,পথচারি ও এলাকা বাসী সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই  নিহত হয়েছে । 


রাজু আহমেদ 

বেনাপোল, যশোর 

০৩/১০/২০২৩ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ