Header Ads

বেনাপোলে ইজি বাইক ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানের সাদা এলইডি লাইট দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

 


বেনাপোল প্রতিনিধিঃ 

হাইকোর্টের রায় আর মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনার ৮  বছর পার হলেও থেমে নেই মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল। ফলে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা।

দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারিচালিত রিকশা বা ভ্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে এমিটিং ডায়োড (এলইডি) লাইট, যার কোনো বৈধতা নেই।

অটো রিকশার এলইডি হেডলাইটের আলো সাধারণ পথচারীদের চোখে পড়লে অপরদিক থেকে আসা আর কোনো বাহন চোখে পড়ে না। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। অনেকে গুরুতর আহত হন। আবার অনেকের মৃত্যু হয়। বেনাপোলের  স্থানীয়রা এ সমস্যার সমাধানে স্থানীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চান।

অভিযোগ আছে, এই উপজেলায়  কোনো নিয়মনীতি না মেনেই চলছে হাজার হাজার ইজি বাইক ও ব্যাটারি চালিত ভ্যান। এসব বাহন ও বাহকের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। নেই ড্রাইভিং প্রশিক্ষণও। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আছে যত্রতত্র পার্কিংয়ের অভিযোগ। যখন যেখানে ইচ্ছা দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী পরিবহন করে এসব ইজি ভ্যান  বা ইজিবাইকের বাহকরা।

বেনাপোল টু  যশোর  রুটের বহু যাত্রী অভিযোগ করেছেন, ইজিবাইকের  অত্যাচারে রাতে চলাচল খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলাচল না করলেও অযথা তারা হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখে। এতে রাস্তা ঠিকভাবে দেখা যায় না। সব কিছু ঝাপসা দেখায়। কখন কে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বোঝাও যায় না।

স্থানীয়রা বলছেন, রাতে এমনিতেই বাস-ট্রাকের হেডলাইটের আলো চোখে পড়লে সমস্যা হয়, তার ওপর তিন চাকার  ভ্যান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ব্যবহার করা হচ্ছে এলইডি। রাস্তার ধারে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থেও এলইডি লাইট ব্যবহার হয়। এতে রাস্তায় চলতে গেলে দৃষ্টিবিভ্রম হয়, ঝাপসা দেখতে শুরু হয়।


মোটরসাইকেল আরোহীদের অভিযোগও বিস্তর। তারা  জানান, এলইডির আলোর কারণে রাতে মোটরসাইকেল চালানো দুষ্কর। তা ছাড়া যেখানে সেখান পার্কিং করে রাখায়ও চলাচলে অসুবিধা হয়। কিছু বলতে গেলে খারাপ আচরণ করে। এসব থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না।

এক অটো রিকশাচালকের ভাষ্য, অটো রিকশা বা ইজিবাইকের আসল হেডলাইট ব্যবহার করতে চার্জ খরচ বেশি হয়। তাই এলইডি হেডলাইট ব্যবহার করা হয়। এতে খরচ কম। আলোও বেশি পাওয়া যায়।

ইকবাল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, চাইনা তে এই এলইডি লাইট তৈরি হলেও দুর্ঘটনা এড়াতে  তারা কখনও এই লাইট তাদের গাড়িতে ব্যবহার করে না। তাই  বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অটো রিকশা ও ইজিবাইকের ব্যাপক আলো কমিয়ে আনতে হবে। তীব্র আলোর এলইডি লাইটের ব্যবহার অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে পৌরসভার সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। বেনাপোলের  বিভিন্ন এলাকায় এ সমস্যা ব্যাপক। তাই আমরা স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের কাছে এ সমস্যা সমাধান আশা করছি।


রাজু আহমেদ 

বেনাপোল,যশোর 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.