Header Ads

বাড়তে চলেছে ভ্রমণ কর! বাজেট অধিবেশনের আগেই প্রস্তাব হাসিনা সরকারের



বেনাপোল প্রতিনিধিঃ

 আর্থিক সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে চাইছে শেখ হাসিনার সরকার। আগামী রবিবার থেকে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে। সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের আলোচনার পর আগামী ২৫ জুন বাজেট পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।  এই বাজেটে একাধিক ক্ষেত্রে করবৃদ্ধি করা হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

এইবারের বাজেটে ভ্রমণকর বৃদ্ধি করা হতে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে। এর ফলে বাড়তে চলেছে বাংলাদেশের বাসিন্দাদের ভ্রমণ খরচ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে জল, স্থল ও আকাশ এই তিন পথেই ভ্রমণকর বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভ্রমণ কর ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলেও সূত্রের খবর।

প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী জুলাই মাস থেকে বিমানপথে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চিন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ানে যেতে যাত্রীদের ভ্রমণকর হিসাবে দিতে হবে ৬ হাজার টাকা। এখন এইসব দেশে যেতে হলে ভ্রমণকর দিতে হয় ৪ হাজার টাকা করে।

সার্কভুক্ত দেশগুলিতে, বিমানে যাওয়ার জন্য, এখন ভ্রমণকর দিতে হয় ১ হাজার টাকা। এই টাকা দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলিতে যেতে হলে এবার থেকে ভ্রমণকর হিসাবে দিতে হবে ২ হাজার টাকা করে।

বিমানপথে অন্য কোনও দেশে যেতে ভ্রমণকর হিসাবে দিতে হবে ৪ হাজার টাকা। সেই দেশগুলির জন্য বর্তমানে ৩ হাজার টাকা করে ভ্রমণকর লাগে। এই সঙ্গেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও কর দিতে হবে। এই কর হচ্ছে ২০০ টাকা।

স্থলপথে অন্য কোনও দেশে যাওয়ার জন্য এখন ভ্রমণকর দিতে হয় ৫০০ টাকা করে এবার নতুন প্রস্তাব অনুসারে এই কর দ্বিগুণ হচ্ছে। সেই সঙ্গে জলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও ভ্রমণকর ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এই কর ১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও এনবিআর সূত্রে জানা গিয়েছে।

বাংলাদেশে এর আগে ভ্রমণকর বৃদ্ধি করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা জানান, কোভিডের প্রভাব কমার পরে এখন মানুষের আবার বেড়ানোর আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ভ্রমণকর বৃদ্ধি করা হলে তা সেখানের বাসিন্দাদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে। এর ফলে বিমান সংস্থাগুলির ব্যবস্যা কমতে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা।

রাজু আহমেদ 

বেনাপোল,যশোর 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.