বেনাপোলে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ছিনতাই।। ছিনতাই কারীদের সহযোগিতার অভিযোগের তীর প্রশাসনের দিকে
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত চলছে ছিনতাই। দেশের গুরুত্বপুর্ণ এলাকা এবং রাষ্ট্রের ভারত গমনের প্রধান ফটক বেনাপোল চেকপোষ্ট। এই পথে প্রতিদিনি ৫ থেকে ৭ হাজার দেশী বিদেশী লোক যাতায়াত করে থাকে। আর ওইসব যাত্রীদের এক শ্রেনীর ছিনতাইকারী লাইনের আগে অনলাইন ট্যাক্স, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হবে না এসব প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে তাদের পছন্দ মত ঘরে। তারপর অনলাইন ফর্মপূরণ এবং টাকার নাম্বার লিখতে হবে, না লিখলে কাস্টমস আটক করবে বলে নানা ভাবে দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের বুঝিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা গুনতে গুনতে ফেলে দেয় টেবিলের নীচে। এভাবে প্রতিনয়ত সাধারন এসব যাত্রীদের টাকা ছিনতাই করছে । আর অভিযোগ উঠেছে ওই সব ছিনতাইকারী ও অসাধু প্রশাসন এর কর্মকর্তাদের জন্য দেশের সন্মান মর্যাদা ক্ষুন্ম হচ্ছে ।
এসব ছিনতাইকারীদের ভয়ে স্থানীয়রা কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। কারন এরা দলে অনেক ভারী।
আবার এসব দোকানে ও ছিনতাইকারী প্রধান এর সাথে রয়েছে পুলিশের সক্ষতা । প্রতিনিয়ত দেখা যায় এক শ্রেনীর পুলিশ এর কিছু সদস্য এদের দোকানে যেয়ে দেখা সাক্ষাত করে চলে যায়। আর এই দেখা সাক্ষাতের আগে পরে হয় ছিনতাই। তবে কোন পাসপোর্ট যাত্রীর অভিযোগ পেলে থানা পুলিশকে একাধিকবার আবার টাকা উদ্ধার করতে ও দেখা যায় । আবার মাঝে মধ্যে দুই একজনকে ধরে চালান দিতে ও দেখা যায়। আবার ওইসব ছিনতাই কারীদের ঘরে তালা মারতে ও দেখা যায় তবে তালা স্থায়ী হয়না। আবার তাদের অনুরোধে তালা খুলে দেয়। এসব দৃশ্য দেখে এলাকার সাধারন মানুষেরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় আশংকা জনক হারে এবং দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম চললেও স্থায়ী ভাবে নেই এর কোন প্রতিকার। অথচ এই চেকপোষ্টে সকাল থেকে পুলিশ সহ দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থার লোককে দেখা যায় ঘোরা ফেরা করতে। সম্প্রতি ছিনতাইয়ের হার আশঙ্কজনক হারে বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার্স ইনচার্জকে নিজে মাঠে নেমে পদক্ষেপ নিতে দেখলেও তার দুই দিন পর আজ রোববার (৭/০৫/২৩) আবারও ছিনতাই হয় ভারতীয় নাগরিকের ৭ হাজার টাকা। ভারতীয় নাগরিক এর টাকা বেনাপোল চেকপোষ্টের চৌধুরী মার্কেট থেকে ছিনাতই হয়। পরে পুলিশের পদক্ষেপে এ টাকা উদ্ধার হয়। এরপর বেলা সাড়ে তিনটার সময় একই মার্কেটে আবারও অন্য একটি গ্রুপ ছিনতাই করলেও সে টাকা উদ্ধার করে আর্মস পুলিশ ও একটি বেসরকারী সিকিউটি কোম্পানির কিছু সদস্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক এক ব্যক্তি বলেন, এসব ছিনতাইকারীরা এক একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরা বিভিন্ন কৌশলে যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা ছিনতাই করে থাকে। এসব ছিনতাইকারীদের সাথে আবার রয়েছে ১৪ থেকে ১৫ বছরের কিশোরও। এদের মধ্যে অনেকে যাত্রীদের ল্যাগেজ এগিয়ে দেওয়ার নাম করে বিশেষ করে মহিলাদের হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ও ছিনতাই করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এসব ছিনতাইকারীদের নিকট থেকে মাঝে মধ্যে পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি এবং বাজার কমিটির টাকা উদ্ধার করে দিলেও বন্ধ হচ্ছে না তাদের ছিনতাই।
বেনাপোল হয়ে ভারত গমন যাত্রী ছিনতাই কারীর কবলে পড়া নুরুজ্জামান বলেন, এসব মার্কেটের ঘরে যদি প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেয় তাহলে ছিনতাই হতে পারে না। আমি মনে করি এর সাথে প্রশসন এর লোক অলিখিত ভাবে জড়িত থাকতে পারে।
জি এম আশরাফ
বেনাপোল,যশোর
Post a Comment