বেনাপোলে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতার বাওড় ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও স্বর্ণাংলকারসহ ৩১ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ
বেনাপোল প্রতিনিধি :
যশোরের বেনাপোল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বেনাপোল পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুলের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তার মাছের বাওড় এবং বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ১৪ ভরি স্বর্ণ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।বেনাপোল পেঁচোর বাঁওড় অফিস ও সাদিপুরস্থ তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আহাদুজ্জামান বকুলের পরিবারসহ ৫ জন আহত ও নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটপাটসহ আনুমানিক ৩১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে হামলাকারীরা।
এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮-১০ জন অজ্ঞাত আসামীদের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায়মামলা দায়ের করেছেন তিনি। ভুক্তভোগী আহাদুজ্জামান বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামের মৃত আল্লারাখা মাস্টারেরছেলে।
গত শনিবার শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার রাতে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার বিকালে বেনাপোল পেঁচোর বাঁওড়ে আহাদুজ্জামান বকুল তার অফিসে ছিলেন। এসময় বাঁওড় পাহারাদার হিসাবে মাসুদ শেখ ও আব্দুল আলিম সেখানে কাজ করছিলো।বিকাল আনুমানিক ৪ টা ৩০ মিনিটের সময় সেখানে বেনাপোলের সাদীপুর, বড়আঁচড়া, বেনাপোল, গয়ড়া, কাগজপুকুরের চিহিৃত একদল সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ হঠাৎ প্রবেশ করে বাঁওড়ের স্পিড বোট, নৌকা এবং অফিস ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ সময় বাঁওড়ের পাহারাদাররা বাঁধা দিলে পাহারাদার মাসুদ শেখ ও আব্দুল আলিমকে লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে ইমরান নামের এক সন্ত্রাসী পিস্তল দিয়ে তাকে মেরে ফেলার জন্য গুলি করে। গুলি লক্ষ্যভষ্ঠ হলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। গুলির শব্দে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
একই দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আহাদুজ্জামান বকুলের সাদিপুরস্থ বাড়িতে একই সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে বাড়ির ভিতর ও বাহিরে ব্যাপক ভাংচুর করে মাছ বিক্রির নগদ ৯ লাখ টাকা এবং ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে পারিবারের সকল সদস্যকে বেদম মারপিট করে মারাত্মক ভাবে আহত করে। বকুলের মা হানুফা খাতুন (৭৮) বাধা দিতে গেলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা নানা হুমকি ধামকি দিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভূক্তভোগী আহাদুজ্জামান বকুল বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের সাথে আমার পূর্ব শত্রæতা রয়েছে। তারা আমার টাকা,স্বর্ণালংকার সব কিছু লুটে নিয়ে এখন প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমান আমি চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, এ ঘটনায়থাায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদেরকে গ্রেফতাে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রাজু আহমেদ
বেনাপোল, যশোর
Post a Comment