Header Ads

শার্শায় মামা কর্তৃক ভাগ্নে অপহরণের একদিন পর উদ্ধার



বেনাপোল প্রতিনিধি : 
যশোরের শার্শায় মামা কর্তৃক ১২ বছরের স্কুল পড়ুয়া ভাগ্নেকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসাবে পরিবারের নিকট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দাবি। ঘটনার পরপরই ভিকটিমের পরিবার থানায় মৌখিক অভিযোগ করলে ভিকটিমকে উদ্ধারে থানা পুলিশ অভিযানে নামেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যশোরের ঝিকরগাছার বেনেয়ালী ফতেপুর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহরণের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ ও ভিকটিমের সূত্রে জানা যায়, শার্শার গাতিপাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮)। ছোট বয়সে সাইফুলের পিতা মাতার মৃত্যুর পর উপজেলার বসতপুর বড় কলোনির বাসিন্দা নি:সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের আশ্রয়ে পালক সন্তান হিসেবে লালিত পালিত হন।
সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) তার আপন দুলাভাই উপজেলার স্বরুপদহ গ্রামের নাসির উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। দুপুর ২ টার দিকে শ্যালক সাইফুল ইসলাম তার বাড়ি থেকে তার ছোট ছেলে শার্শা পাইলট স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রাকিব হোসেনকে বেড়াতে যাবার কথা বলে নিয়ে যান। পরে সাইফুল তার ভাগ্নে রাকিবকে জিম্মি করে দুলাভাই নাসির উদ্দিনের নিকট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার রাকিবকে উদ্ধারে শার্শা থানা পুলিশের স্বরণাপন্ন হন। তাৎক্ষণিক মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ভিকটিমকে উদ্ধারে থানা পুলিশ দ্রæত অভিযানে নামেন।
ঘটনার ২৪ ঘন্টাপর বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী-ফতেপুর নামক পাকা রাস্তার উপর থেকে ভিকটিমের ফুফাতো ভাই রাকিবকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের সময় অপহরণকারী মামা সাইফুল পালিয়ে যান। উদ্ধারের পর ভিকটিমকে সাথে নিয়ে তার পরিবার থানায় হাজির হন। 
শার্শা থানার এসআই রাশেদুজ্জামান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণের শিকার ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। 
রাজু আহমেদ 
বেনাপোল, যশোর 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.