Hot Posts

10/recent/ticker-posts

নোংড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় অবস্থিত আলমদিনা ক্লিনিকের কার্যক্রম

 


বেনাপোল প্রতিনিধিঃ রাজু আহমেদ

দেশজুড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চালানো অবৈধ্য তথা নিবন্ধনহীন,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিয়ম বহিভূর্তভাবে পরিচালিত বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়গণস্টিক সেন্টার বন্ধ অভিযানের মুখেও থেমে নেই শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় অবস্থিত আলমদিনা ক্লিনিকের রমরমা ব্যাবসা।

অস্বাস্থ্যকর নোংড়া পরিবেশ, সার্বক্ষনিক রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়াই ক্লিনিক পরিচালনা, অদক্ষ নার্স ও টেকনিয়াস দিয়েই ডায়গণস্টিক কার্যক্রম পরিচালনা, অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই ক্লিনিকে একাধিক রোগী ভর্তি রাখা সহ বিবিধ অনিয়মের মধ্য দিয়েই ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে অল্প সময়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন প্রতিষ্ঠান মালিক।

সিজার পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্রের বিপরীতে কমমূল্যের ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবায় রোগী ঠকানোর মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

অভিযোগের সত্যতা যাচায়ে বৃহষ্পতিবার ( ৮ সেপ্টেম্বর ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অনুসন্ধানী দল সরেজমিনে গিয়ে নোংড়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে তা ক্যামেরায়ধারন করেন ।

এ সময় ক্লিনিকে কোন ডিগ্রিধারী ডাক্তার পাওয়া যায়নী। ক্লিনিকটিতে ভর্তি রত রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানাই সপ্তাহে ২দিন বড় ডাক্তার আসেন বাকী সময় নার্সরা চিকিৎসা দেন।সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সটকে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ ক্লিনিকে চিকিৎসারত এক রোগী জানান,এখানে রোগী সেবা কার্যক্রম অত্যান্ত নিন্মমানের। ভর্তি হওয়ার সময় অনেক সুবিধার প্রলোভন দেখালেও সিজার শেষ হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এক প্রকার জিম্মিকরে চুক্তির দ্বিগুন টাকা হাতিয়ে নেই।

অভিযোগের বিষদ জানিয়ে বিবৃতি নিতে মুঠোফোনে প্রতিষ্ঠান মালিকের সাক্ষাত চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য মুঠোফোনে নিজে ও লোকমারফত চেষ্ঠা চালান বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, অনিয়ম ,অব্যবস্থপনা ও নিবন্ধনহীনভাবে ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনার দায়ে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের অভিযানে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হলেও পরবর্তীসময়ে স্থান পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু করেছেন আলমদিনার স্বত্তাধিকারী কামরুজ্জামান।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী জানান,আলমদিনা ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি ছিলগালা করা হয়েছিলো।পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্টানটি নিবন্ধনের আবেদন করলে সেখানে স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বরতরা ইন্সেপেকসন করেছেন বলে জানা আছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনার ব্যতয় ঘটিয়ে যদি কোন প্রতিষ্ঠান ক্লিনিক বা ডায়গণস্টিক কার্যক্রম চালান তবে সে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গনমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিল্পব কান্তি বিশ্বাস জানান, অনুমোদনহীন এবং অভিযুক্ত সকল বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়গণস্টিক সেন্টারে স্বাধ্যঅধিপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক যশোরে অভিযান চলছে ও তা অব্যাহত থাকবে।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ